জন্ম নিবন্ধন আবেদন – জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ।

জন্ম নিবন্ধন আবেদন – জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ।
“নতুন জন্ম নিবন্ধন” অনলাইন আবেদনের নিয়মাবলী- ২০২৪ । আপনি কিংবা আপনার শিশুর জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে চান, তাহলে এই পোস্টটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। কারণ নতুন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন ফরম পূরণ করতে কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন এবং সকল তথ্যাদি নির্ভুলভাবে আবেদন নিম্নে ডেমো আকারে ছবিসহ বিস্তারিত দেখানো হয়েছে।
- জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন ফরম পূরণ করতে কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন:
নতুন জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে আবেদন করতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হবে তা নিম্নে দেয়া হলো।
যথা:-
- ইপিআই টিকা কার্ড বা হাসপাতালের ছাড়পত্র।
- হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ অথবা জমির খাজনা পরিশোধের রশিদ।
- আবেদনকারী পিতা বা মাতার সচল মোবাইল নম্বর।
শিশুর বয়সভেদে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ভিন্ন হতে পারে। জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার ক্ষেত্রে নিম্মোক্ত কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। যথা:
শিশুর বয়স যদি ০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে হলেঃ
- ইপিআই (টিকা) কার্ড বা হাসপাতালের ছাড়পত্র।
- বাসার হোল্ডিং নম্বর এবং হাল সনের হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ।
- আবেদনকারী পিতা-মাতা/ অভিভাবকের সচল মোবাইল নম্বর।
- পিতা ও মাতার ডিজিটাল বা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
- পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (যদি থাকে)।
শিশুর বয়স ৪৬ দিন থেকে ৫ বছরের মধ্যে হলেঃ
- ইপিআই (টিকা) কার্ড / স্বাস্থ্য কর্মীর প্রত্যায়নপত্র (স্বাক্ষর ও সীলসহ)।
- পিতা ও মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
- পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (যদি থাকে)।
- প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের প্রত্যয়ন পত্র (স্বাক্ষর ও সীলসহ)।
- বাসার হোল্ডিং নম্বর এবং হাল সনের হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ।
- আবেদনকারী পিতা – মাতা/ অভিভাবকের সচল মোবাইল নম্বর।
৫ বছরের বেশি বয়সের শিশু বা ব্যক্তির জন্যঃ
- বয়স প্রমাণের ক্ষেত্রে চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র (বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত এম,বি,বি,এস বা তদূর্ধ্ব ডিগ্রিধারী)।
- সরকার কর্তৃক পরিচালিত প্রথমিক শিক্ষা সমাপনী অথবা জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট।
- পিতা ও মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ এর কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
- পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (যদি থাকে)
- অথবা- জন্মস্থান বা স্থায়ী ঠিকানা প্রমাণের ক্ষেত্রে পিতা/ মাতা/পিতামহ/পিতামহীর দ্বারা স্বনামে স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে ঘোষিত আবাস স্থলের বিপরীতে হালনাগাদ কর পরিশোধের প্রমাণপত্র।
- অথবা, জমি অথবা বাড়ি ক্রয়ের দলিল, খাজনা ও কর পরিশোধ রশিদ (নদী ভাঙ্গন অন্য কোন কারনে স্থায়ী ঠিকানা বিলুপ্ত হলে)।
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন কিভাবে করবেন।
নতুন জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে আবেদন করার জন্য https://bdris.gov.bd এই সাইট ভিজিট করুন অথবা জন্ম নিবন্ধন আবেদন এই লিংকে https://bdris.gov.bd/br/application ক্লিক করেও সরাসরি আবেদন করতে পারবেন। যে ঠিকানা হতে জন্ম নিবন্ধন পেতে ইচ্ছুক, সে ঠিকানা সিলেক্ট করে “পরবর্তী বাটনে” ক্লিক করতে হবে।
নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির পরিচিতি :
- নাম- বাংলায় ও ইংরেজীতে টাইপ করুন।
- জন্ম তারিখ সেলেক্ট করুন। (আমার কাছে এই ডকুমেন্টসগুলি আছে সেলেক্ট করতে হবে)
- পিতা ও মাতার কততম সন্ধন তা নির্বাচন করুন।
- লিঙ্গ নির্বাচন করুন।
- ঠিকানা যথাযথ ভাবে পূরণ করে “পরবর্তী বাটনে” ক্লিক করুন।
- পিতা ও মাতার যথাযথ ভাবে তথ্য দিয়ে “পরবর্তী বাটনে” ক্লিক করুন।
- স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা দিয়ে “পরবর্তী বাটনে” ক্লিক করুন।
(জন্মস্থানের ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা যদি একই হয় তাহলে খালি বক্স ক্লিক করতে হবে)
- আবেদনকারী নিজ হলে “নিজ” বাটন সেলেক্ট করে সংযোজন বাটনে ক্লিক করে চাহিত ফাইল আপলোড করতে হবে।
অথবা,
- আবেদনকারীর অভিভাবক হলে “অন্যান্য” বাটন সেলেক্ট করে অভিভাবকের তথ্য ইনপুট দিয়ে সংযোজন বাটনে ক্লিক করে চাহিত ফাইল আপলোড করতে হবে।
[ আবেদন পত্রটি সাবমিট করার পূর্বে অবশ্যই সকল তথ্য ঠিক আছে কিনা দেখে নিন ও আবেদনকারীকে দেখান। মনে রাখবেন একবার আবেদনপত্র সাবমিট করা হয়ে গেলে আবেদনপত্রটিতে আর এডিট করার সুযোগ থাকবে না।]
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে মোবাইল নম্বরে ও বিদেশীদের ক্ষেত্রে ইমেইলে যাচাইকরন ওটিপি যাবে।
ই-মেইল ঠিকানা টাইপ করুন। মোবাইল নম্বরটি দিয়ে ওটিপি পাঠান। কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি ৬ সংখ্যার একটি ওটিপি যাবে ওটিপি নম্বর দিয়ে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে।
আবেদন সম্পন্ন করে আবেদনের প্রিন্ট কপি ইউনিয়ন/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশনে জমা দিন।
- প্রয়োজনীয় বর্ণনা;
- জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট করে জমা
- জন্ম নিবন্ধন ফি পরিশোধ
- জন্ম নিবন্ধন আবেদনের বর্তমান অবস্থা
- জন্ম সনদ প্রিন্ট করে সচিব ও চেয়ারম্যান মহোদয়ের স্বাক্ষর করে কার্যসম্পাদন করুন।
আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি:
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন- ২০০৪ অনুযায়ী শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করা প্রতিটি নাগরিকের বাধ্যতামূলক।
কোন অসুবিধার কারণে ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করতে না পারলেও আমার পরামর্শ থাকবে আপনার শিশুর ৫ বছরের মধ্যে অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন অনলাইন সম্পন্ন (Jonmo Nibondhon) করিয়ে নিবেন। অন্যথায়, ৫ বছর বয়স অতিক্রান্ত হলে জন্ম নিবন্ধন করতে অনেক অতিরিক্ত ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে এবং বিভিন্ন ঝামেলা পোহাতে হবে।
- “নতুন জন্ম নিবন্ধন” অনলাইন আবেদন জেপিজি ছবি যুক্ত ডেমো আকারে তুলে ধরা হলো:-
নতুন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়মাবলী ডেমো আকারে তৈরি দেখুন:
আমাদের অনেকেই জানেন না জন্ম নিবন্ধন কোথায় করতে হয় এবং কিভাবে করতে হয় তাই এই ব্লগের মাধ্যমে আমি সব কিছু বিস্তারিত শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে।
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদনের পুরাতন ওয়েব সাইট টি পরিবর্তন করে নতুন ওয়েব সাইট চালু করা হয়েছে। বর্তমানে জন্ম নিবন্ধন নতুন লিংক- https://bdris.gov.bd/br/application
- জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন করার ক্ষেত্রে নিম্নে ক্রমিক গুলো অনুসরণ করুনঃ
- জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন শুরু করুন:
আপনি নিম্নেলিখিত কোন ঠিকানায় জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করতে চান ? *
আপনি কোন ঠিকানায় জন্ম নিবন্ধন করাতে চান, এখানে তা বাছাই করুন। অর্থাৎ যে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন থেকে জন্ম নিবন্ধন করতে চান বা উত্তোলন করতে ইচ্ছুক, সেটি নিবন্ধনাধীন শিশু বা ব্যক্তির কোন ঠিকানায় তা এখানে নির্বাচন করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
প্রথম- (ক) নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির পরিচিতি – Identity of person under registration
নামের ২ টি অংশ থাকলে ১ম অংশটি নামের প্রথম অংশের ঘরে লিখবেন ও ২য় অংশটি নামের শেষের অংশে লিখবেন।
যদি নামের ৩টি অংশ থাকে ১ম ও ২টি অংশ নামের প্রথম অংশে লিখবেন এবং শেষ অংশটি নামের শেষের অংশের ঘরে লিখবেন।
যদি নাম ১ শব্দে হয় অর্থাৎ নামের অংশ ১টি হয়, এক্ষেত্রে প্রথম অংশ খালি থাকবে। শুধুমাত্র নামের শেষ অংশে নাম লিখবেন।
একই ভাবে ইংরেজিতেও পূরণ করবেন। এছাড়া, জন্ম তারিখ, পিতা ও মাতার কততম সন্তান, লিঙ্গ ও জন্মস্থানের ঠিকানা সঠিকভাবে পূরণ করে সবশেষে ডান পাশের পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
নিচের ছবিটি দেখুন….
দ্বিতীয় (খ) : পিতা ও মাতার তথ্য – Father’s And Mother’s Information
এইভাবে নিবন্ধনাধীন শিশু বা ব্যক্তির পিতা ও মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন নম্বর, জন্ম তারিখ ও জাতীয়তা দিতে হবে।
এখানে পিতা-মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন নম্বর ও জন্ম তারিখ লিখার পর স্বয়ংক্রীয়ভাবে নামসমূহ চলে আসবে। এগুলো আপনি এডিট করতে পারবেন না।
এজন্য, পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধনটি ডিজিটাল বা অনলাইন কিনা তা অবশ্যই আগে যাচাই করে নিবেন। বাবা মায়ের জন্ম নিবন্ধন তথ্য অনলাইনে না থাকলে, শিশুর জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা যাবেনা।
নিচের লিংক থেকে চেক করে দেখুন জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল কিনা এবং তথ্য সঠিক আছে কিনা।
- জন্ম নিবন্ধন যাচাই :
অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ যাচাই করার জন্য লিংকে ক্লিক করুন https://everify.bdris.gov.bd/
তবে, নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির জন্ম তারিখ ২০০০ সাল বা তার পূর্বে হলে, পিতা-মাতার নাম লিখে দিতে পারবেন এবং পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর না থাকলেও চলবে।
পিতা ও মাতার তথ্য – Father’s And Mother’s Information গুলো পূরণ করা শেষে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন। নিচের ছবিটি দেখুন….
তৃতীয় (গ): স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা – Present and Permanent Address
এ পর্যায়ে আপনাকে বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানার তথ্য প্রদান করতে হবে।
- স্থায়ী ঠিকানার ক্ষেত্রে:
স্থায়ী ঠিকানার ক্ষেত্রে, জন্মস্থান ও স্থায়ী ঠিকানা একই হলে চেক বক্সে টিক দিন (লাল বক্সে চিহ্নিত)। এছাড়া বর্তমান ঠিকানার ক্ষেত্রেও স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা একই হলে (লাল বক্সে চিহ্নিত) চেক বক্সে টিক দিন।
অন্যথায়, ঠিকানাগুলো নির্বাচন করে দিন এবং গ্রাম, বাসা ও সড়ক নম্বর লিখে দিন। এরপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন। নিচের ছবিটি দেখুন….
চতুর্থ (ঘ): আবেদনকারীর তথ্য:
এ ধাপে যিনি এই জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করছেন, তার তথ্য দিতে হবে। সাধারণত একটি শিশুর জন্ম নিবন্ধনের জন্য দায়ী ব্যক্তি হচ্ছেন পিতা, মাতা, পিতামহ, পিতামহী, মাতামহ, মাতামহী বা আইনগত অভিভাবক। তাই শিশুর জন্ম নিবন্ধনের আবেদন তারাই করে থাকেন।
তাছাড়া আপনি নিজেও নিজের জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারেন। নিজে আবেদন করলে নিজ সিলেক্ট করুন। অথবা, পিতা, মাতা, পিতামহ, পিতামহী ইত্যাদি সিলেক্ট করে সংযোজন বাটনে ক্লিক করুন এবং চাহিত ডকুমেন্টন্স আপলোড করুন।
(বি:দ্র: আপলোডকৃত ফাইল ১০০ কেবি এর মধ্যে হতে হবে, অন্যথায় আপলোড হবে না।)
- আবেদনকারী নিজ হলে “নিজ” বাটন সেলেক্ট করে সংযোজন বাটনে ক্লিক করে চাহিত ফাইল আপলোড করতে হবে।
অথবা,
- আবেদনকারীর অভিভাবক হলে “অন্যান্য” বাটন সেলেক্ট করে অভিভাবকের তথ্য ইনপুট দিয়ে সংযোজন বাটনে ক্লিক করে চাহিত ফাইল আপলোড করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন: নিচের ছবিটি দেখুন…..
[ আবেদন পত্রটি সাবমিট করার পূর্বে অবশ্যই সকল তথ্য ঠিক আছে কিনা দেখে নিন ও আবেদনকারীকে দেখান। মনে রাখবেন একবার আবেদনপত্র সাবমিট করা হয়ে গেলে আবেদনপত্রটিতে আর এডিট করার সুযোগ থাকবে না।]
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে মোবাইল নম্বরে ও বিদেশীদের ক্ষেত্রে ইমেইলে যাচাইকরন ওটিপি যাবে।
ই-মেইল ঠিকানা টাইপ টাইপ করুন। মোবাইল নম্বরটি দিয়ে ওটিপি পাঠান। কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি ৬ সংখ্যার একটি ওটিপি যাবে ওটিপি নম্বর দিয়ে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে।
নিচের ছবিটি দেখুন….
সবকিছু ঠিক থাকলে ডান পাশের পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন এবং আবেদনটি সম্পন্ন করুন।
পঞ্চম (ঙ): জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট
সফলভাবে Jonmo Nibondhon Online ফরমটি সাবমিট হলে আপনি জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট করার অপশন পাবেন। জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন ফরম প্রিন্ট করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ/ পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন অফিসে জমা দিতে হবে।
আবেদন প্রিন্ট করার সময় খেয়াল করবেন, প্রিন্টে যেন Headers and Footers information গুলো দেখা যায়। কারণ Header Information এ আপনার আবেদনের Application_ID থাকবে। এছাড়া Application_ID আর কোথাও দেখা যায় না।
যেহেতু Application_ID ছাড়া আপনার জন্ম নিবন্ধনের আবেদনটি খুঁজে বের করা যাবে না, তাই জন্ম নিবন্ধন আবেদন প্রিন্ট কপিতে যেন অবশ্যই থাকে।
জন্ম নিবন্ধন আবেদন প্রিন্ট : নিচের ছবিটি দেখুন….
জন্ম নিবন্ধন আবেদন প্রিন্ট করার সময়, Print Option থেকে More Settings এ ক্লিক করুন। এরপর Headers and Footers অপশনে টিক দেয়া না থাকলে টিক দিয়ে প্রিন্ট করুন।
- আবেদনের সাথে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে জমা দিবেন।
- জন্ম নিবন্ধন আবেদন যাচাই
পরবর্তীতে আপনার আবেদনটি অনুমোদন হয়েছে কিনা তার অবস্থা জানতে জন্ম নিবন্ধন আবেদনের বর্তমান অবস্থা যাচাই করতে পারবেন অনলাইন থেকে।
আপনার আবেদন অনুমোদন হওয়ার পর অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন চেক করে জেনে নিন আপনার জন্ম নিবন্ধন অনলাইন হয়েছে কিনা।
- জন্ম নিবন্ধন আবেদন বাতিল করার নিয়ম
জন্ম নিবন্ধন আবেদন বাতিল করার জন্য আপনাকে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা কাউন্সিলর অফিস যেখানে আবেদন করেছেন সেখানে যেতে হবে। আবেদন বাতিলের জন্য অবশ্যই আবেদনের Application_ID জানতে হবে। আবেদনটি কেন বাতিল করতে চান তার কারণ দেখিয়ে আবেদন বাতিল করার জন্য অনুরোধ করুন।
এছাড়া নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন ১৫ দিনের মধ্যে জমা না দিলে তা স্বয়ংক্রীয় বাতিল হয়ে যাবে।
যদি আপনি আবেদনে কোন প্রকার ভুল করে থাকেন, আবেদনটি বাতিল করে আবার নতুনভাবে ফরম পূরণ করতে পারবেন। অফিসে গিয়ে বাতিল না করতে পারলে সেক্ষেত্রে ১৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে। এরপর আবার আবেদন করা যাবে।
- জন্ম নিবন্ধনের জন্য অনলাইন আবেদন সরাসরি ভিডিওতে দেখুন :
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম ২০২৪। How to Apply Online Birth Certificate Registration 2024
অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর
- জন্ম নিবন্ধন কিভাবে করতে হয়?
শিশুর বা কোন ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন করার জন্য প্রথমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। তারপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি ও অনলাইন আবেদনের প্রিন্ট কপি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে জমা দিতে হবে।
- নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে কি কি লাগে?
শিশুর/ ব্যক্তির বয়স অনুসারে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কিছুটা ভিন্ন হবে। বয়স ৫ বছরের বেশি হলে সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের অতিরিক্ত ডকুমেন্টের প্রয়োজন হবে। জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে তা জানতে পড়ুন- জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে
- জন্ম নিবন্ধন কোথায় করতে হয়?
জন্ম নিবন্ধন করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ে করতে হয়।
- জন্ম নিবন্ধন কখন করতে হয়?
সাধারণত শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করানো উত্তম। তবে শিশুর ৫ বছরের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করা সুবিধাজনক। এর বেশি বয়স হলে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অনেক বেশি দিতে হয় যা অত্যন্ত ঝামেলাপূর্ণ।
- জন্ম নিবন্ধন করতে কত টাকা লাগে?
জন্ম নিবন্ধনের ফির পরিমাণ জানতে পড়ুন জন্ম নিবন্ধন ফি
- জন্ম নিবন্ধন কি দুইবার করা যায়?
না। জন্ম নিবন্ধন ২য় বার করা যাবে না। স্বয়ংক্রীয়ভাবে সার্ভারে ডুপ্লিকেট এন্ট্রি দেখাবে।
- কিভাবে জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে আবেদন করতে হয়?
কিভাবে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন ফরম পূরণ করবেন তা বিস্তারিত দেখতে পড়ুন – নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন
- বিবাহিত নারীর ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধনে কি স্বামীর নাম লেখা যাবে?
না। জন্ম নিবন্ধনে স্বামীর নাম লেখার কোন সুযোগ নেই। পিতা ও মাতার নাম লিখতে হবে।পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন না থাকলে কিভাবে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা যাবে ?
২০২৪ সালের নতুন আপডেট অনুসারে, ২০০১ বা তার পরে জন্মগ্রহণকারী সকল শিশুর জন্ম নিবন্ধন করতে পিতা ও মাতার জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর ছাড়া শিশুর জন্ম নিবন্ধন করা যাবে না।
জন্ম নিবন্ধনের আবেদনের সময় ‘পসিবল ডুপ্লিকেট’ সমস্যার সমাধান কি?
‘পসিবল ডুপ্লিকেট’ টি একই জেলায় হলে অথরাইজড ইউজার বা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) প্রয়োজনীয় অনু্সন্ধান করে বিষয়টির নিষ্পত্তি করবেন। ‘পসিবল ডুপ্লিকেট’ টি একই জেলায় না হলে প্রথমে প্রশাসনিকভাবে ভিন্ন জেলার সাথে যোগাযোগ করে অনু্সন্ধান বা তদন্ত করতে হবে। এতে ডুপ্লিকেট হওয়ার অনুকুলে কোনো তথ্য পাওয়া না গেলে আবেদনকারীকে ভালোভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার কাছে থেকে অন্যত্র তার জন্ম নিবন্ধন করা হয়নি মর্মে লিখিত নিয়ে আবেদনটি মঞ্জুর করা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করতে হবে।
৫টি ‘প্যারামিটার’ মিলে গেলে ‘পসিবল ডুপ্লিকেট’ ১০০% ‘ডুপ্লিকেট’ হিসাবে প্রতীয়মান হবে। প্যারামিটারগুলো হচ্ছে ০১। আবেদনাধীন বাক্তির নাম, ০২। পিতার নাম, ০৩। মাতার নাম, ০৪। নিবন্ধন কার্যালয়ের নাম, এবং ০৫। জন্ম তারিখ। ‘ডুপ্লিকেট’ হিসাবে চিহ্নিত ব্যক্তিগণের জন্ম তারিখের ব্যবধান ৮ /১০ বছর বা তার বেশি হলে বা স্থায়ী ঠিকানা না মিললে ‘ডুপ্লিকেট’ হবার সম্ভাবনা সাধারণত ০% হয়ে যায়।
আরো বিস্তারিত জানার জন্য আমাদের ওয়েব সাইট ভিজিট করুন: www.itpatuakhali.com